দুর্নীতি মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী জানান, আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের সিনিয়র বিশেষ জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক মাস পর শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী চুমকি করণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। তার চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে। প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।